দক্ষিণ কোরিয়াতে দূতাবাসের উদ্যোগে স্থায়ীভাবে শহীদ মিনার নির্মাণ।


সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে রাজধানী সিউলের অদূরে আনসান শহরে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির বৈশ্বিক প্রতীক একটি স্থায়ী শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়েছে। আনসান শহরটি দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় রাজধানী এলাকার অর্ন্তভূক্ত। বহুজাতিক ও বহুসংস্কৃতির এ শহরেই সর্বাধিক বিদেশীসহ অনেক বাংলাদেশীদের বসবাস। আনসানের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ”মাল্টিকালচারাল পার্কে” এ শহীদ মিনারটি গড়ে তোলা হয়েছে।
স্বাধীনতার পরপরই দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সর্ম্পক স্থাপিত হলেও এবং এ দেশে বাংলাদেশীদের আগমনের চার দশক পরেও দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি স্থায়ী শহীদ মিনার না থাকার অভাববোধ প্রবাসী বাংলাদেশীদের সবাই অনুভব করেন। বিশেষতঃ ১৯৯৯ সালে কানাডার কিছু ভাষা-সৈনিক আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে বাংলাদেশের শহীদ দিবস ২১শে ফেব্রুয়ারী জাতিসংঘ কর্তৃক আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা পাওয়ার পর দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি স্থায়ী শহীদ মিনার স্থাপনের আকাঙ্খা নতুন রূপ লাভ করে।
২০১৫ সালে দূতাবাসের দায়িত্ব নেবার পর বিষয়টা নিয়ে কাজ শুরু করেন রাষ্ট্রদূত মোঃ জুলফিকার রহমান। তুরস্কে দায়িত্বপালনকালে রাষ্ট্রদূত জুলফিকার ২০১২ সালে আংকারায় বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য্য স্থাপন করেন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেটি উন্মোচন করেন। বেশ কিছুদিনের প্রয়াসের পর ২০১৬ সালের জুলাই মাসে আনসানের মেয়রের সাথে রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাতকালে মেয়র আনসান শহরে শহীদ মিনার নির্মানে সম্মতি প্রদান করেন।
একরাশ দাপ্তরিক ও আইনী প্রক্রিয়া শেষে ২০১৭ সালের জুন মাসে শহীদ মিনার নিমার্নের কাজ শুরু হয়। ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে স্টিলের তৈরী শহীদ মিনারটি এখন সগর্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে আনসানের সাংস্কৃতি কর্মকান্ডের কেন্দ্র হিসেবে সুপরিচিত ”মাল্টিকালচারাল পার্কে”।

তার আগে স্থান নির্বাচন, ডিজাইন তৈরিসহ অন্যান্য কাজ করা হয়। বেদী ও মিনার তৈরির মাধ্যমে পুরো নির্মাণকাজ শেষ হয় অক্টোবরে। বেদীর দৈর্ঘ্য ৬.২৫ মিটার এবং প্রস্থ ৩ মিটার। মিনারের উচ্চতা ২.৪ মিটার।
শহীদ মিনারের জন্য জমি প্রদান, নির্মান ব্যয়সহ সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছে আনসান সিটি মেয়র অফিস। আগামী ১৯ শে নভেম্বর ২০১৭ তারিখে শহীদ মিনারটি উদ্বোধন করা হবে।
নিঃসন্দেহে শহীদ মিনারটি কোরিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীদের বহু দিনের আকাঙ্খার ফসল। এটি বিদেশে দেশীয় সংস্কৃতি চর্চা এবং বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে; কোরিয়ার বুকে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি লাভ করবে এক অনন্য উচ্চতা। শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এখন থেকে বাংলাদেশী ছাড়াও কোরিয়ান এবং অন্যান্য জাতীগোষ্ঠির মানুষ এ শহীদ মিনারে ১৯৫২-এর ভাষা শহীদদের স্মৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করতে পা

Commentaires