ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার জন্য কোনো ঝুঁকি নিতে চায় না। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাই প্রার্থী বাছাইয়ে সতর্ক অবস্থান অবলম্বন করেছে দলটির হাইকমান্ড। নিজস্ব এলাকায় জনপ্রিয়তা, জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক, দলীয় আনুগত্যসহ বেশকিছু গুণাগুণের ওপর ভিত্তি করে দেয়া হবে নৌকার মনোনয়ন।
তবে সম্প্রতি একাদশ জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এমন খবর লক্ষ্য করা যাচ্ছে বেশ কয়েক দিন ধরে। বিষয়টি নিয়েও উত্তপ্ত রাজনীতির মাঠ। বিভিন্ন মিডিয়াতে ওই জরিপের সংখ্যা নিয়ে রয়েছে ভিন্ন মতামত। কেউ বলছেন ১৫১ আবার কেউ ১০০ জন। তবে আগামী নির্বাচনে দলের প্রার্থী এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যরা।
আওয়ামী লীগের কয়েকজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ এখনো নৌকার মনোনয়নের জন্য কোনো প্রার্থী চূড়ান্ত করেনি। কয়েকদিন থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে খবব প্রকাশ হচ্ছে তার সবই আন্দাজের ওপর। চূড়ান্ত প্রার্থীর বিষয়ে দলের পার্লামেন্টারি বোর্ডে কোনো কথায় হয়নি। তবে দলের মনোনীত প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন সভাপতি শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান ফেমাসনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী এখনো চূড়ান্ত হয়নি। বিষয়টি নিয়ে দলের পার্লামেন্টারি বোর্ডে কথা হয়নি। এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক এ বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দলের মনোনয়ন চূড়ান্তের বিষয়ে দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। এসব যারা বলছেন তারা আন্দাজ করে বলছে।
এদিকে এমন খবর প্রচারিত হওয়ার পর থেকেই উৎফুল্ল মনোভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে মনোনয়ন প্রত্যার্শী আওয়ামী লীগ এমপিদের মধ্যে। বিভিন্ন পত্রিকায় তাদের আন্দাজ করা চূড়ান্ত নামের তালিকা দেখে অনেক এমপি ও তাদের অনুসারীরা দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেছেন। সেসব মিষ্টি বিতরণের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্টও করা হয়। ফলে ভাইরাল হয়ে যায় অনেক ছবি।
এ ছাড়া আগামী নির্বাচন সামনে রেখে দলটির সম্ভাব্য প্রার্থীর বাছাইয়ের কাজ শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। এক্ষেত্রে দলীয় পর্যবেক্ষণ ও বিভিন্ন সংস্থার জরিপের ভিত্তিতেই সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেবে দলটি। দলের নীতি-নির্ধারণী পর্যায় থেকে এমন তথ্য জানা গেছে। সেক্ষেত্রে ওই নির্বাচনে দলটির বর্তমান ও সাবেক অনেক মন্ত্রী-এমপি এমনকি দলের হেভিওয়েট প্রার্থীরাও মনোনয়ন বঞ্চিত হতে পারেন।

Commentaires
Publier un commentaire