মাহমুদা আক্তারর সুমি(ইডেন কলেজ প্রতিনিধি) ১৮৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজটি তৎকালীন বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রথম মহিলা কলেজ। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কলেজটি এ অঞ্চলে নারী শিক্ষার প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। ১৯৬৩ সালে আজিমপুরে বর্তমান ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের পর এতে নতুন মাত্রা লাভ করে। ছাত্র রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণেরও অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে কলেজটির মাধ্যমে। নারীর ক্ষমতায়নে কলেজটির রয়েছে অনবদ্য অবদান। বর্তমানে ছাত্রলীগ সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল রাজনীতির ফলে অতীতে হারানো গৌরব ও সম্মান ফিরে পাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী এ ছাত্রসংগঠন।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১ লা নম্ভেবর তাছলিমাকে আক্তারকে আহবায়ক করে ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এছাড়া মোট ১৪কে যুগ্মআহবায়ক করে ৫৯ সদস্য করা হয়। কমিটি ঘোষণার পর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নির্দেশে পরদিন থেকে কাধে কাধ রেখে আপন মায়ের পেটের বোনদের মত বীরের বেশেই কাজ করতে থাকে সারা কলেজে।
গ্রুপিংয়ের এবং আপু ভিত্তিক রাজনীতির মূলে শাবলের আঘাত এনে গোটা ছাত্রলীগকে নিয়ে এসেছেন একটা ছাতার নীচে। আর সেই ছাতা হল দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাত সাদৃশ্য। তারা প্রতিটা ডিপার্টমেন্টে, প্রতিটা হলে কর্মীদের দ্ধারে দ্ধারে পৌঁছেছেন, মুখের কথা আর নিজেদের কাজের মাধ্যমে কর্মীদের বিলাস বিমুখ হতে শিখিয়েছেন।
বিভিন্ন সভা সেমিনারে প্রচন্ড গরমে, ক্ষুধার্ত অবস্থায়, ধৈর্যের সাথে তাদের অভিযোগ অনুযোগ শুনেছেন আর তাদের শুনিয়েছেন ছাত্রলীগের আত্মত্যাগ এর মন্ত্র, কোন কিছু গ্রহণ নয়, দান বা ত্যাগ ই হল এর ইতিহাস, নিজেরা আত্মত্যাগ করে দেখিয়েছেন, শিখিয়েছেন কিভাবে আত্মত্যাগ করতে হয় দেশ সেবার ব্রতে।
যেমনতর স্বাধিকার ও স্বাধীনতা সংগ্রামে ছাত্রলীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী আত্মহুতি যুগ যুগ ধরে ইতিহাসে লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে অনাগত প্রজন্মের কাছে প্রেরণার উৎস হয়ে তেমনিভাবে পঁচাত্তর পরবর্তী সামরিক-বেসামরিক স্বৈরশাসকদের অত্যাচার-নির্যাতনে নিহত শত শত নেতাকর্মীর আত্মদানের কথাও জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
ঠিক একই ভাবে আত্মত্যাগের এ মিছিল এই ২০১৭ সালে এসেও লম্বা হয়েই চলেছে। কখনোবা জঙ্গিবাদ দমন করতে গিয়ে অথবা নিরাপদ কর্মস্থল প্রতিষ্ঠায় হরতাল প্রতিরোধ , কিংবা সমাজ থেকে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নৈরাজ্য দমনে কাজ করেছে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়,তাছলিমা আহবায়ক হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে মাস দিনব্যাপী সিরিজ কর্মসূচি হাতে নেয়। মাসব্যাপী শোক দিবসের আলোচনা সভা ও বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে নানা প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয় শোকাবহ আগস্ট। এছাড়াও ২১ আগস্ট গ্রেনেট হামলা দিবস, শেখ হাসিনার জন্মদিন উদযাপন, জেলহত্যা দিবস, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, বিজয় দিবস, ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস, জাতীয় শহীদ দিবস, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ, বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীসহ অন্যান্য কর্মসূচি পালন করে।
অন্যদিকে,কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ কর্তৃক আয়োজিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, খেলাধুলার মতো জনকল্যাণমূলক কর্মসূচিও অংশগ্রহন করে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ । সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বিতরণ ও পাঠচক্র আয়োজন করে নিয়মিত এবং সারাদেশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উচ্চ শিক্ষার্থে আগত নবীন ছাত্র-ছাত্রী বন্ধুদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হয়।
প্রতি সোমবার সাপ্তাহিক মিছিল ও আলোচনা সভাকরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা করে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ।সাপ্তাহিক মিছিল ও আলোচনা সভায় সাধারন ছাত্রীদের অংশগ্রহন চোখে পড়ার মত।
এছাড়াও সারাদেশে ছাত্রলীগের কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে গত ১২ ও ১৩ জুন কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের পক্ষ থেকে ‘বর্ধিত সভা ও কর্মশালা’র অংশগ্রহন করে ।
ছাত্রলীগের আহবায়ক তাছলিমা বিজয় ৭১ নিউজকে বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শুধুমাত্র ছাত্রদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগঠন নয়। ছাত্রলীগ এদেশের সকল মানুষের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার আদায়ের প্লাটফম।বিজয় ৭১ তার কাছে জানতে চায় আগামি একাদশ নির্বাচনে আপনার ভূমিকা কি হবে? প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাদার অব হিউম্যানিটি খ্যাত দেশরত্ন শেখ হাসিনার উন্নয়কে তৃনমূল পর্যায়ে তুলে ধরতে নিজ এলাকায় বিভিন্ন সভাসমাবেশ ও উঠান বৈঠক করে মত কাজ করে যাচ্ছি এবং আমাদের সকল ছাত্রলীগ কর্মীবাহিনীকে নিজ নিজ এলাকায় আওয়ামীলীগ এর উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং প্রত্যেকে সে অনুসারে কাজ করে যাচ্ছে।জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
১নং যুগ্মআহবায়ক শাহনাজ আক্তার বিজয় ৭১কে বলেন, আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদস্য সবাই মিলেমিশে আমরা একসাথে কাজ করে, ইডেন কলেজের ছাত্রলীগ কে আগের চেয়ে সুসংগঠিত করেছি।ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ আজ সার্বজনীন।
ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ সম্পর্কে কলেজটির বর্তমান অধ্যক্ষ বলেন,সাধারন শিক্ষার্থীদের জন্য বর্তমান কমিটির কার্যকক্র সত্যই প্রশংসার দাবিদার।যুগ্মআহবায়ক নিশাদ সাদিয়া ও নাসিমা আক্তার নেতৃত্ব ও ইডেন কলেজ ছাত্রলীগকে অনেকটা সু সংগঠিত করেছে বলে অনেক ছাত্রলীগ কর্মীরা মনে করে।স্লোগান মাস্টার আনজুমানআরা অনু বলেন,ছাত্রলীগ একটা অনূভুতির নাম, একটা আদর্শের নাম জাতির জনকের আদর্শকে ধারন করে শেখ হাসিনার উন্নয় তৃনমূলে পৌছে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।
সাধারন শিক্ষার্থীদের কাছে কলেজ বর্তমান শিক্ষার পরিবেশ কেমন তা জানতে চাইলে ইংরেজি বিভাগের মীম জানায়, শিক্ষার পরিবেশ রক্ষার্থে ছাত্রলীগ এর ভূমিকা অনবধ্য।তিমি আরো বলেন,আমাদের কলেজে কোন রকম রাজনৈতিক ব্যানার,ফ্যাসটোন নাই এটা আমাদের নিকট অনেক ভাল লাগে। ইডেন কলেজের সাবেক ছাত্রী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপ শিক্ষা ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক নুরজাহান আক্তার সবুজী বলেন,ইডেন কলেজ বর্তমান আহবায়ক কমিটির সবচেয়ে বড় সফলতা সংগঠনের শৃঙ্খলা ধরে রাখা। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অন্যান্য ইউনিট থেকে শৃঙ্খলারর দিক দিয়ে এগিয়ে আছে ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগ।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য প্রিয়াংকা আরমিন বলেন,ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড । সেই লক্ষ্যেই মুজিব আদর্শকে প্রত্যেকটি ছাত্রীর মাঝে পৌছে দিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ শাখা।
ইংরেজি বিভাগের মাস্টার,স এর ছাত্রী নুরুনাহার ঋৃতু বলেন,আহবায়ক তাছলিমা আক্তার সাধারন ছাত্রীদের মডেল, তাসলিমা আপুর সততা, নিষ্ঠা,আন্তরিকতা ও চলাফেরা আমাদের মত সাধারন ছাত্রছাত্রীদেরকে ছাত্রলীগ করতে উৎসাহ যোগায়।ইডেন মহিলা কলেজ এর ২য় বর্ষের ছাত্রী সাদিয়া বলেন, আহবায়ক কমিটি
ঘোষনা দেওয়ার পর হলে শৃঙ্খলা ফিরে আসে।আগের কমিটি গুলোতে সিট বানিজ্যের যে অভিযোগ ছিল এখন তা আর নাই।ছাত্রলীগ নেত্রীরা সাধারন ছাত্রীদের মতই হলে থাকে।
বিজয় ৭১ কে মাস্টার পড়ুয়া এক ছাত্রী জানায় এখন বরিরাগত কোন ছাত্রী আর হলে থাকতে পারে না, এতে করে সাধারন ছাত্রীদের সীট পেতে আর কোন অ

Commentaires
Publier un commentaire